
প্রকাশ: ০৯:৫৭:০০ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৮ | |
বিআর রিপোর্ট
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করে বাংলাদেশে পাঠানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রুল চেয়েছেন কৌঁসুলি ফাতোও বেনসৌদা।
স্থানীয় সময় গত সোমবার নেদারল্যান্ডসের হেগের আদালতে করা ওই আবেদনের পক্ষে রুল আসলে ইস্যুটি নিয়ে তদন্ত করতে পারবেন তিনি।
রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার আইসিসির সদস্য না হওয়ায় গণহত্যার দায়ে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আপাতত সম্ভব নয়। এ কারণে বেনসৌদা বিতারণের ঘটনাকে সামনে তুলে ধরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, জোর করে কোনো দেশের বাসিন্দাদের আন্তর্জাতিক সীমানার বাইরে ঠেলে দেওয়া সব দিক থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার একে জাতিগত নিধন অভিযানের উদাহরণ বলে বর্ণনা করেছেন এবং মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত সেখানে গণহত্যার সব চিহ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
আবেদনে আইসিসির এই কৌঁসুলি বলেন, ‘এখানে আদালতের আওতা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই আদালতের সদস্য, কিন্তু মিয়ানমার নয়। তারপরও আদালত বিষয়টিকে আওতাভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। যেহেতু অপরাধটি আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে ঘটছে এবং আদালতের সদস্য বাংলাদেশের ভূখ- এর শিকার হচ্ছে।’
বেনসৌদার এই আবেদন বিবেচনার দায়িত্ব পড়েছে কঙ্গোর বিচারপতি অ্যান্টোনি কেসিয়া-এমবে মিন্দুয়ার ওপর৷ বিষয়টি নিয়ে শুনানির আয়োজন করতে আইসিসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন বেনসৌদা৷ শুনানিতে তিনি তার যুক্তি তুলে ধরতে চান৷ পাশাপাশি আগ্রহী ব্যক্তি ও সংস্থাও তাদের যুক্তি তুলে ধরতে পারবেন।
এই বিষয়ে আইসিসির রায় বেনসৌদার পক্ষে গেলে তিনি রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের বিষয়ে তদন্ত করার সুযোগ পাবেন৷ সীমান্ত পারাপারের বিষয়টি জড়িত থাকায় আইসিসির বিদ্যমান আইনের ভিত্তিতেই তা করতে পারবেন। তবে মিয়ানমার এক্ষেত্রে সহায়তা করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে দেশটি৷
গত বছরের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অভিযানকালে নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, জ¦ালাও-পোড়াও, লুটপাট চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
![]() Email: [email protected] |