logo
প্রকাশ: ১০:৪৬:০০ এএম, ০৬ মার্চ ২০১৮
বিমানের নতুন জনবল কাঠামো চূড়ান্ত হয়নি এগারো বছরেও

বিগত এগারো বছরেও নতুন জনবল কাঠামো চূড়ান্ত করতে পারেনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বর্তমানে বিমানের মোট জনবলের প্রায় ৪৫ ভাগই অস্থায়ী।

একদিকে যেমন শ্রমিক-কর্মচারীরা বঞ্চিত হচ্ছে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে। অন্যদিকে চাকুরী স্থায়ী না হওয়ায় জবাবদিহ

জানা গেছে, ২০০৭ সালে বিমানকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করার সময়, স্বেচ্ছা অবসর দেয়া হয় ৩ হাজার ৪০০ শ্রমিক -কর্মকর্তা কর্মচারীকে। এরপর, বিমান অর্গানোগ্রাম করার উদ্যোগ নিলেও ঝুলে আছে এগারো বছর ধরে।

বর্তমানে শ্রমিক-কর্মকর্তা কর্মচারী মিলে বিমানের মোট জনবল ৫ হাজার। এর মধ্যে অস্থায়ী শ্রমিক ২ হাজার ২০০। স্থায়ী না হওয়ায়, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা পাচ্ছে না কোন ওভারটাইম বা সুবিধা। দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত হলেও মিলছে না প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ।

এ ব্যাপারে এক শ্রমিক বলেন, সামান্যতম মুজুরি। ক্যাজুয়ালদের জন্য ওভারটাইম নেই। বেতন পাই মাসের ১৫ তারিখে। বাবা-মা মরা গেলেও আমরা ছুটি পাই না। ছুটি নিলে বেতন কেটে রাখা হয়। দুর্ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসার জন্য বিমান থেকে কোন সাড়া দেয় না।

এতে বিমানের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি অস্থায়ী শ্রমিকদের দায়বদ্ধতা না থাকায় সেবাতেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

এ ব্যাপারে সিবিএ বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিকুর রহমান বলেন, আশ্বাস যদি বাস্তবায়ন না করে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ২৫ বা ৩০ বছর একজন শ্রমিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাতে পারে। তার কাজে তো প্রভাব পড়বে, তার তো মন থাকবে না কাজে।

বিমানের পরিচালনা পর্ষদ অসংখ্য বৈঠক করলেও জনবল কত হবে তা এ পর্যন্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি। তবে বিমানের জনবল কাঠামো চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানান মাহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, আমাদের জনবল কাঠামো তৈরি করার বিষয়টি প্রায় শেষ পর্যায়ে। বোর্ড থেকে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আমাদের বৈদেশিক স্টেশনগুলোতে যে জনবল চাহিদা সেটা নিরূপিত হয়েছে। আমরা আশা করছি, পরিচালনা পর্ষদের এক বা দু'টি মিটিংয়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত পেয়ে যাবো।

বিমানের পক্ষ থেকে নয় হাজার জনবলের প্রস্তাব করা হলেও এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন বোর্ড সদস্যরা। এদিকে ৭ই মার্চের মধ্যে ক্যাজুয়ালদের স্থায়ী করা না হলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে শ্রমিকরা।