
প্রকাশ: ০৩:৪৭:০০ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৮ | |
বিআর রিপোর্ট
তোমার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে ঘরে বসেই খুব সহজে কিছু টাকা উপার্জন করা যায়। অনলাইনে ঘরে বসে ইন্টারনেটের ইউটিউব থেকে আয় করার অনেক উপায় আছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করার মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয়। তুমিও খুব সহজেই এই ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করতে পারো।
কীভাবে ইউটিউবে নিজের Channel ও ভিডিও তৈরি করা যায়
YouTube Channel তৈরিপ্রথমেই তোমাকে Gmail ID-এর মাধ্যমে একটি YouTube Channel তৈরি করে নিতে হবে। YouTube.Com-এ গিয়ে Gmail ID-এর মাধ্যমে সাইনআপ করলেই তোমার YouTube Channel তৈরি হয়ে যাবে।
ভিডিও তৈরির জন্য তুমি দুটি উপায় অবলম্বন করতে পারো। প্রথমটি হলো ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে দ্বিতীয়টি কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও এডিটিংয়ের মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে। তবে ভিডিও তৈরির আগে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, তোমার ভিডিওটি অবশ্যই মজাদার বা শিক্ষণীয় ও ভালো মানের হতে হবে। কারও কোনো ভিডিও নকল করে কিংবা সামান্য পরিবর্তন করে কাজটি করা যাবে না। তাহলে তুমি ইউটিউবের কাছে কপিরাইটের দায়ে ফেঁসে যেতে পারো।
YouTube Partner হওয়া
তারপর বাঁ পাশের অপশন থেকে My Channel-এ ক্লিক করলে তোমার YouTube Channel-টি দেখতে পাবে। তোমার Channel টির নামের উপরে Video Manager নামে আরেকটি অপশন দেখতে পাবে, সেটিতে ক্লিক করো। এখন বাঁ পাশের Channel অপশনে ক্লিক করার পর ডানে অনেক অপশন দেখতে পাবে। সেখানে তোমার নামের পাশে থাকা Partner থেকে মোবাইল নম্বর দিয়ে Partner Verified করতে হবে। Partner Verified না করলে তোমার ভিডিওগুলোকে Monetized করতে পারবে না।
ভিডিও Upload করা
এখন তোমার ভিডিওটি আপলোড করো। আপলোড হওয়ার পর ভিডিওটির নিচের দিকে Monetized অপশন দেখতে পাবে। এখানে Monetize with ads অপশনে ঠিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই তোমার ভিডিওটিতে এখন থেকে Google বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে। তবে সাবধান, কোনো প্রকার কপি করা ভিডিও আপলোড করবে না। তাহলে ইউটিউব যেকোনো সময় তোমার Monetized Ackb Disable করে দেবে।
AdSense G Apply করা
এখন তোমাকে তোমার YouTube Channel-এর মাধ্যমে Google AdSense-এর জন্য আবেদন করতে হবে। এই AdSense-এর মাধ্যমে তুমি টাকা উত্তোলন করবে। এখন আবার বাঁ পাশের Channel অপশন থেকে Monetization অপশনে ক্লিক করে ডান পাশে Enable Monetization বাটন থেকে Monetization অ্যাকটিভ করে নিতে হবে। তারপর নিচের দিকে How Will Paid নামে আরেকটি অপশন পাবে। সেখানে associate an AdSense account-এ ক্লিক করে Next ক্লিক করে তোমার Gmail ID-এর মাধ্যমে লগইন করে যাবতীয় তথ্য দিলেই তোমার AdSense Request চলে যাবে। এখন দু-তিন দিনের মধ্যে তোমার AdSense Approve এর মেইল তোমার ইনবক্সে চলে আসবে।
কীভাবে আয় বাড়ানো যায়?
ভিডিওটির বর্ণনা দেওয়া ও নিয়মিত ভিডিও তৈরি
নতুন ভিডিও আপলোড করার পর সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটি সম্পর্কে তার নিচে বর্ণনা দিয়ে দেবে। তাহলে ইউটিউব সহজে তোমার ভিডিওটি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবে। এতে করে ইউটিউব নির্ধারিত টপিক অনুযায়ী ভিজিটরদের কাছে ভিডিওটি পৌঁছে দেবে।
নিয়মিত নিত্যনতুন ভালোমানের ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবে। তাহলে তোমার Channel টির Viewer বাড়তে থাকবে। আর Viewer বাড়া মানেই হচ্ছে তোমার আয় বেড়ে যাওয়া।
ভিডিও শেয়ার ও ব্যাক লিংক তৈরি
ভিডিও পাবলিশ করার পর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদি সাইটে তোমার ভিডিও শেয়ার করতে পারো।
তুমি যে বিষয় নিয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল বা ভিডিও তৈরি করছ এ রকম অন্য জনপ্রিয় সাইটগুলোতে তোমার ভিডিওটির লিংক দিয়ে দিতে পারো। এতে করে সেখান থেকেও তোমার সাইটে প্রচুর ভিজিটর পেয়ে যাব।
বাংলাদেশ থেকে কি আয় করা সম্ভব?
আসলে ইউটিউবের মাধ্যমে এখনো বাংলাদেশ থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। কারণ, বাংলাদেশে এখনো YouTube Monetization সাপোর্ট দিচ্ছে না। সে জন্য যে যতই চাতুরীর কথা বলুক না কেন, সাধারণ কোনো Channel দিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা আদৌ সম্ভব নয়। তবে তুমি যদি তোমার YouTube Channel-টিকে ভালোমানের একটি Channel হিসেবে ইউটিউবের কাছে প্রমাণ করতে পারো তাহলে ইউটিউব তোমাকে তাদের নিজে থেকে Monitization-এর জন্য অফার করবে। কেবল তখনই তুমি বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবের মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবে।
যেহেতু ইউটিউব হচ্ছে Google কোম্পানির একটি অংশ, সুতরাং তুমি চাইলে এখান থেকে তোমার পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে বিশ্বস্ততার সঙ্গে টাকা উপার্জন করতে পারো। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে তোমাকে কোনো প্রকার Domain ও Hosting কোনোটাই কিনতে হচ্ছে না। তা ছাড়া ইউটিউবের মাধ্যমে খুব সহজেই Google AdSense অনুমোদন পাওয়া যায়।
![]() Email: [email protected] |