logo
প্রকাশ: ০৭:০৬:০০ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৮
সুনামগঞ্জে হাওরে ধানে মড়ক : কৃষকের দুশ্চিন্তা

বিআর রিপোর্ট 

সুনামগঞ্জে হাওরে ধানের বাম্পার ফলনের সুখবর পাওয়া গেলেও কিছু হাওরে ধানে মড়ক দেখা দিয়েছে। এটি সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ধানে ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। সংক্রমিত জমির পরিমাণ কম। এটি হিসেবের মধ্যে আসে না। ছত্রাক নাশক ওষুধ ছিটিয়ে ছত্রাক নাশের চেষ্টা চলছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এপ্রিলে তাপদাহ, আকস্মিক বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষকের অনিশ্চয়তা কাটছে না।

সরেজমিনে হাওর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফসলরক্ষা বাঁধ মজবুত হয়েছে। বাঁধের ভয় নেই কৃষকের। বাম্পার ফলন গোলায় তুলতে বুনছেন স্বপ্ন। অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ধান পাকা নিয়ে। কিন্তু ধানে মড়ক দেখা দেয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষক।এটি সংক্রমিত হয়ে জমির পর জমি নষ্ট করতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে মেশিন দিয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছেন চত্রাক নাশক স্প্রে। তবুও ছাড়ছে না ব্যাধি।

কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ব্রি-২৮ জাতের হলুদ রং ধানের শীষের নীচের অংশে কালো দাগের মতো। কৃষি অধিদপ্তর সেটিকে 'ব্লাস্টরোগ' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
স্থানীয় প্রবীণ এলাকাবাসীর অভিমত, 'বাপ দাদার আমল থেকে কখনো এ রকম রোগে আক্রান্ত হতে দেখিনি ফসল। এবার প্রথমবার নতুন এ রোগের দেখা মিলে হাওরে।'

তবে জেলার সব হাওরে এখনো এ রোগ ছড়িয়ে পড়েনি। সদর উপজেলার মাইজবাড়ী এলাকার হাওরে ও তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওরে এ রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মাটিয়ান হাওর রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক বলেন, এবার বাঁধের কাজ শক্ত হয়েছে। তবে ভীতি ছড়াচ্ছে ২৮ ধানের ব্লাস্টরোগের আক্রমণ নিয়ে। মাটিয়ান হাওরে প্রায় ২ হাজার হেক্টর ফসলী জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। এটি সংক্রমিত হলে কৃষকের স্বপ্ন খান খান হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহা জানান, ব্রি-২৮ জাতের ধানে এ রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত জমির পরিমাণ কম। এ ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করতে লিফলেটসহ নানা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।