
বিআর রিপোর্ট
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের আশপাশে যেসব শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে, সেইসব কারখানা মালিকদের রাজনৈতিক পরিচয়সহ তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন লেখক ও গবেষক সৈয
তার মতে, তাহলে বুঝা যাবে উদ্যোক্তারা কাদের লোক, তারা কি জনস্বার্থে এ কারখানা করছে নাকি পরিবেশ ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।
শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল মিলনায়তনে 'দক্ষিণ-বাংলায় শিল্পায়ন : নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বাপার সহসভাপতি রাশেদা কে চৌধুরী।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, 'আমরা কৃষিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই না। যে উন্নয়ন কৃষি-পরিবেশকে ক্ষতি করে তা কখনই টেকসই হয় না। জনগণ পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন চায়। কিন্তু সরকার উন্নয়নের নামে বাড়াবাড়ি করছে। যারাই এদেশে উন্নয়ন করতে চায় তারা কখনই পরিবেশকে গুরুত্ব দেয় না।'
বিশিষ্ট এ নাগরিক জিডিপির অর্জনের সমালোচনা করে বলেন, ৬ দশমিক এত, ৭ দশমিক অত, এসব অংক বাংলাদেশের লোকজন জানে না। এ কথার মানে হচ্ছে, জনগণকে ভুলিয়ে রাখা।
সরকার উন্নয়নের কথা বলে, এ উন্নয়ন ১০-১২ বছরের লক্ষ্যে হচ্ছে। এর কোনোটি পরিবেশ বান্ধব কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। উন্নয়ন হওয়া উচিৎ দীর্ঘ মেয়াদি।
কর্তৃপক্ষের দাবি দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ আইন রয়েছে। কিন্তু তারা নিজেরাই সেই আইন মানছে না বলে দাবি করেন এ লেখক।
সভাপতির বক্তব্যে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যারা পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে এবং পরিবেশের ক্ষতি দেখলে প্রতিবাদ করে, তাদেরকে উন্নয়ন বিরোধী বলা হয়। আমরা স্পষ্ট বলছি,
পরিবেশবাদীরা উন্নয়ন বিরোধী নয়। উন্নয়নের নামে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা বলছি সেই উন্নয়ন চাই না। পরিবেশবাদীরা টাকা ও শক্তির কাছে হেরে যাচ্ছে।
পরিবেশ রক্ষায় সরকারকে সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীদের সাথে আলোচনার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমামসহ আয়োজক সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।