
বিডিরিপোর্ট
মশার কি দাপট! ক্ষুদ্র এই প্রাণীটির হাত থেকে বাঁচতে কত পদ্ধতিই না অবলম্বন করছে মানুষ। কিন্তু সবই ব্যর্থ। এমন অবস্থায় হাস্যরসাত্মক প্রবাদ ‘মশা মারতে কামান দাগানোর’ চেয়েও বড়
তারা মশা নিধনে অত্যাধুনিক রাডার ব্যবহার করতে যাচ্ছে!
মিসাইলকে চিহ্নিত করতে যে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, অনেকটা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মশার বংশ ধ্বংস করতে চায় চীন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মশা খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে ‘মিলিটারি গ্রেড’ রাডার বানাচ্ছে বেইজিং। ‘কাটিং এজ’ রাডারটি তৈরি হচ্ছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ডিফেন্স ল্যাবরেটরিতে।
প্রাথমিক ধাপে মশা মারতে নয়, খুঁজে পাওয়ার কাজ করবে যন্ত্রটি। আশেপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় মশা খোঁজ পেলে জানিয়ে দেবে ওই রাডার। প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা জানান, সাফল্য পেলে মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে যন্ত্রটি। এই যন্ত্র থেকে এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বের হবে, যা আশেপাশের দুই কিলোমিটার এলাকায় থাকা মশাদের খুঁটিনাটি চরিত্র জানিয়ে দেবে কন্ট্রোল রুমে বসে থাকা বিজ্ঞানীদের। মশাটির জাত, লিঙ্গ, কত জোরে উড়ছে বা কোনদিকে যাচ্ছে- সব ল্যাবে বসেই জানা যাবে। এরপর মশাগুলোকে কীভাবে নিধন করা যায়, তার উপায় খোঁজা হবে।
প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, আধুনিক সভ্যতার জন্য মশা একটি অভিশাপ। মশার মাধ্যমে অনেক জটিল রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। মহামারী ছড়াতে এখনো এগিয়ে আছে মশা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর মশার কামড়ে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যা যুদ্ধে নিহতদের চেয়েও বেশি।