
পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃদরোগ ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই একজন নারীর জীবনে 'হার্ট অ্যাটাক' নীরব ঘাতকের মত কাজ করে। পুরুষের তুলনায় নারীদের 'হার্ট অ্যাটাক' এর কম লক্ষণ প্রকাশ পায়। আগে থেকে যদি লক্ষণগুলো বোঝা যায় তাহলে অনেক ক্ষতি পুষিয়ে
শ্বাস প্রশ্বাস স্বল্পতা ও বমি ভাব : হঠাৎ করেই যদি শ্বাস প্রশ্বাসের দ্রুত ওঠানামা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে এটা হার্ট অ্যাটাকের একটা গুরুতর লক্ষণ। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘাম হওয়া : যে কোনো মৌসুমেই কারণ ছাড়া হঠাৎ করে ঠাণ্ডা ঘাম দেখা দেয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। এই অস্বাভাবিক ঘাম দেখা দিলে দ্রুত তার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।
দুর্বলতা : কোন ভারী পরিশ্রম করা ছাড়াই শরীর ক্লান্ত লাগলে বা দুর্বলতা কাজ করা হৃদযন্ত্রের চাপ নির্দেশ করে। খেয়াল রাখতে হবে এর সঙ্গে বুকের ব্যথাও জড়িত আছে কিনা।
পেটের অস্বস্তি : পারিবারিকভাবে যদি হৃদরোগের সমস্যা থাকে তবে হঠাৎ পেটে ব্যথা, পেটে অস্বস্তি অথবা বুকে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
এটা হার্ট অ্যাটাকের একটা লক্ষণ। অনেক নারী পেটে অত্যাধিক চাপ অনুভব করেন যা অনেকটাই পেটের ওপরের অংশে ভারী কিছু থাকার মতো, যা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
গলা, মুখের হাড়, কাঁধ বা পিঠের ওপরের অংশে ব্যথা : এই লক্ষণগুলো পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
এই ধরনের ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে আবার তীব্র হওয়ার আগে বিক্ষিপ্তভাবেও অনুভূত হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা কেবল বুকেই হবে এমন ধারণা থাকার ফলে এই ব্যথাগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়।
বুক ব্যথা : ব্যথা, চাপ অথবা বুকের যে কোনো অস্বস্তি নারীদের ‘হার্ট অ্যাটাক’য়ের লক্ষণ। তবে অনেক নারীর বুক ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।
এই ধরনের বুক ব্যথায় অনেকটা চেপে আসা বা টান লাগার মতো অনুভূতি হতে পারে। আর এটা কেবল বুকের বাম পাশে নয় বরং বুকের যে কোনো জায়গায়ই হতে পারে।সূত্র-ইন্টারনেট