
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার এক প্রেমিক যুগল গোপনে দেখা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছে ।
পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় উভয়পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে কাজি ডেকে বিয়ে দেয়া হয়। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় জোনাশুর গ্রামে এ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার দহিসারা গ্রামের শামচুল মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘ ৪ বছর ধরে একই উপজেলার জোনাশুর গ্রামের মঞ্জুর শেখের মেয়ে জলি খানমের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এই সূত্র ধরে দুপুরের দিকে প্রেমিক সোহেল মোল্লার সঙ্গে দেখা করতে রাজপাট গ্রামে তার এক বন্ধুর বাড়িতে আসে প্রেমিকা জলি।
এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে আটক করে। পরে তাদেরকে রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম খানের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম খান জানান, ধরা পরার পর জলি খানম বিয়ের জন্য সোহেল মোল্লাকে চাপ দেয়। কিন্তু সোহেল মোল্লা প্রেমিকাকে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়।
প্রেমিকা জলি খানম বলেন, বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রেমিক সোহেল মোল্লার পরিবার। এ কারণে রোববার নিরুপায় হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি অভিযোগ করি।
কাশিয়ানী থানা পুলিশের এসআই মো. আব্দুল বারেক জানান, এক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিক সোহেল মোল্লার ভাই সোহাগ মোল্লাকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে রোববার রাতে কাশিয়ানী থানার ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও উভয়পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে থানায় সোহেল মোল্লা ও জলি খানমের বিয়ের আয়োজন করা হয়। এরপর উভয়পক্ষের সম্মতিতে ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে সম্পন্ন হয়।