10:19 AM, 28 May 2019
রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি: জিএম কাদের

বিআর রিপোর্ট: জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মুহম্মদ কাদের বলেছেন, রাজনীতি আজ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। 

তারা রাজনীতিতে অর্থলগ্নি করে কড়ায়-গন্ডায় ফায়দা তুলে নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এ ধরণের রাজনীতি থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, এ কারণে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দরকার। দলগুলোতেও আমূল সংস্কার প্রয়োজন। 

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্বে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা তৃণমূল নেতারাও অংশ নেন। 

জিএম কাদের উপস্থিত নেতাকর্মীদের ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আগামীতে একক নেতৃত্বে চলবে না জাপা।সবার মতামত ও সিদ্ধান্তে দেয়া হবে কর্মসূচি।
 
তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থ উৎসর্গ করে যারা দেশ ও মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে রাজনীতি করছে, সেই তরুণদেরই জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে।

জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিগত দিনে যারা ব্যক্তি স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে জাপার রাজনীতিতে ছিল, যারা ক্রিম খেতে আসেনি, ভবিষ্যতে তাদেরই মূল্যায়ন করা হবে। টাকা বা অস্ত্র নয়, মানুষের ভালোবাসার শক্তি দিয়ে জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাপাকে শক্তিশালী করতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। জাতীয় ছাত্র সমাজকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে কাজ চলছে। ঈদের পর জাতীয় যুব সংহতিসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনগুলোকে গতিশীল করতে পরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্যোগ নেয়া হবে।

মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, আতিকুর রহমান আতিক, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, নাজমা আক্তার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, উপদেষ্টা- ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, রওশন আরা মান্নান, ডা. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান- অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, দেওয়ান আলী, সামশুল আলম মাস্টার, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সরদার শাহজাহান, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শফিকুল ইসলাম শফিক, দিদারুল কবির দিদার, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, আহসান আদেলুর রহমান, পনির উদ্দিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, সুলতান আহমেদ সেলিম, মনিরুল ইসলাম মিলন, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভুইয়া, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া, শফিউল্লাহ শফি, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. সামশুল হক, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, একেএম মুনিম চৌধুরী বাবু, আনিসুর রহমান খোকন, খোরশেদ আলম খুশু, মো. শাহজাহান মানসুর, এমএ ছাত্তার, অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, শারমিন পারভীন লিজা, সৈয়দা পারভীন তারেক, ডা. সেলিমা খান, মাহমুদ রহমান মুন্নি, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, কাজী আবুল খায়ের, হাজী ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, এমএ রাজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, সুমন আশরাফ, ইছারুহুল্লা আসিফ, মিজানুর রহমান মিরু, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক, আবু সাঈদ স্বপন, অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খান, মাখন সরকার, জাতীয় যুব সংহতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা এনাম জয়নাল আবদীন, মুকুল বাদশা, মুজিবুর রহমান মুজিব, অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, রেজাউর রাজী স্বপন, মো. সোলায়মান সামি, জেসমিন নুর প্রিয়ংকা, হাসনা হেনা, মোমেনা বেগম, জাকির মৃধা, মাওলানা খলিলুর রহমান, লোকমান ভুইয়া রাজু, আমান উল্লাহ আমান, পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী, ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, আজহারুল ইসলাম সরকার, সালাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শাহিন, আব্দুল কাদের খান কদর, শফিকুল ইসলাম দুলাল, আনোয়ার হোসেন তোতা, শওকত জামান মিশুকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।