
বিআর রিপোর্ট
ফরিদপুরে গত দুই দিনের শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার রাতভর ভারি বৃষ্টির সঙ্গে শিলা বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় জেলার ৯টি উপজেলার উপর দিয়ে।
ফরিদপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ জানিয়েছে, এই শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ফরিদপুরের জেলার পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজ, ভুট্টা এবং কলা বাগানের বেশ ক্ষতি হয়েছে । এর মধ্যে জেলার আড়াই হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছিলো চাষীরা।
ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টির ফলে কৃষকের সেই ক্ষেতে পেঁয়াজ বীজের কদম মাটিতে পড়ে যায়। এতে অধিকাংশ চাষী ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকারপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজ বীজ চাষী হাফিজার মাতুব্বর জানান, আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে আমারা পেঁয়াজ বীজ ঘরে তুলতে পারতাম, কিন্তু হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টির ফলে পেঁয়াজ বীজের কদম কাদা মাটিতে পড়ে গেছে।
অন্যদিকে চাষী মো. বক্কর হোসেন জানান, পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন অন্য যে কোনো ফসলের তুলনা অধিক ব্যায় বহুল। চলতি মৌসুমে ফসল ঘরে তোলার আগেই কয়েক দফা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার ফলে পেঁয়াজ বীজের কদম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে সকল বীজ চাষীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
অম্বিকারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ চৌধুরী বারী জানান, এই ইউনিয়নের মানুষ কৃষি নির্ভর। তাই ঝড়ো বৃষ্টিতে ভুট্টো, পেঁয়াজ ও পেঁয়াজ বীজ চাষীরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কান্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, বৃষ্টিতে একদিকে যেমন কৃষকের ক্ষতি হয়েছে তেমনি অন্যদিকে অন্য ফসলের জন্য লাভ হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ বীজ চাষে ফরিদপুর দেশের সেরা অবস্থানে রয়েছে। ঝড়ো বৃষ্টি ও শিল পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তবে বোরো ধান এবং পাট চাষীদের এই বৃষ্টি আশির্বাদ হয়ে এসেছে। এছাড়া বৃষ্টিতে আম ও লিচু চাষীরাও লাভবান হবে বলে জানান তিনি।